৪৫০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ বিকল

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল :


টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে ৪৫০ পর্যটকবাহী ‘ফরহান’ নামে একটি জাহাজ সাগরের ডুবোচরে এক ঘণ্টা আটকা পড়ে। এতে জাহাজে থাকা পর্যটকরা টেনশানে পড়ে যায়।
অবশেষে এক ঘণ্টা আটকা থাকার পর জাহাজটি সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছতে সক্ষম হয়।

১ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজটি টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী সাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এটি আটকা পড়ে। জাহাজটির বেলা সাড়ে ১২টায় সেন্টমার্টিনে পৌঁছার কথা থাকলেও দুপুর ১ টায় পৌছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় জোয়ারের পানি কমে যাওয়ায় পর্যটকবাহী জাহাজ আটকা পড়ে। পরে জোয়ার এলে জাহাজটি দ্বীপে পৌঁছে।

তিনি আরও জানান, বিশেষ করে এই রুটে জাহাজগুলো বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া মিয়ানমারের সংলগ্ন এলাকা অতিক্রম করে চলাচল করে থাকে। ফলে অনেক চালকের এ রুটের ধারণা না থাকায়, মাঝে মধ্য এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিটির সভাপতি রশিদ আহমদ জানান, সাগরে পর্যটকবাহী জাহাজ আটকা থাকার খবর পরে দ্বীপ থেকে ট্রলারসহ বেশ কিছু স্পীড বোট পাঠানো হয়েছিল। ভাসমান হওয়ার পর জাহাজটি পর্যটকদের নিয়ে ঘাটে পৌঁছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিলউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয় কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে অধিকাংশ জায়গায় নতুন চরের কারণে মাঝে মধ্যে জাহাজ আটকা পড়ে। আমরা চরগুলো চিহ্নিত করে চর ড্রেজিং করতে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠিও পাঠিয়েছি।’

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘জাহাজ আটকা পড়ার খবর শুনেছি। তবে পর্যটকবাহী জাহাজটি এখন নিরাপদে আছে। তবে কি কারণে এ ঘটনা ঘটছে বিষয়ে খতিয়ে দেখছি।’

এ বিষয়ে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, এ নৌপথে একাধিক ডুবোচর জেগে উঠায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পাঁচটি জাহাজে পযর্টক পারাপার করতে হচ্ছে। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হচ্ছে। ফলে এ রুটে চরগুলো ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা অতি জরুরি। সর্বশেষ বুধবার সেন্টমার্টিন যাত্রাকালে একটি জাহাজ আটকা পড়ে।

এ বিষয়ে ‘ফরহান’ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রাজন বলেন, ভাটার কারণে সাগরে জাহাজটি আটকা পড়ে। কিছুক্ষণ পর জাহাজটি পুনরায় চালু হয়। মূলত সীমান্তে রুটে অনেকগুলো নতুন করে চর উঠেছে। ফলে এ রুটে চলাচল জাহাজগুলো ওপারে সীমান্ত ঘেঁষে যাত্রা করতে হয়। এই কারণে মাঝে মধ্যে এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকে। এখন আমাদের জাহাজটি টেকনাফের উদ্দেশে সেন্টমার্টিন ত্যাগ করছে।